খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি: আইন উপদেষ্টা
  ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই : ফখরুল

নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব : বদিউল

গেজেট ডেস্ক

নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। যারা গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, ফেরারি আসামি এবং নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা যেন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না পারে সেসব প্রস্তাব রেখেছি। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আরএফইডি টক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেন, ব্যাপক অসঙ্গতির কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতি মুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এছাড়া নির্বাচন সম্পর্কে জ্ঞান আছে দেশে এমন লোক খুবই কম। যারা অপরাধী তারা যেন রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কমিশনের প্রধান বলেন, আর্থিক স্বচ্ছতা, গণতন্ত্রের চর্চা এবং দায়বদ্ধতা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইসির আর্থিক স্বাধীনতা থাকতে হবে। স্বাধীনভাবে এনআইডি ব্যবস্থার দায়িত্ব দেয়ার জন্য বলেছি। নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার না করার জন্য প্রস্তাব করেছি। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ‘না’ ভোটের বিধান ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব করেছি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীদের জন্য ১০০ আসন বৃদ্ধি করার জন্য বলেছি। এতে একঝাঁক নারী নেতৃত্ব ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ হবে। নির্দলীয় রাষ্ট্রপতির প্রস্তাব রেখেছি।

প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরও বলেন, গত তিনটি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে এবং শপথও ভঙ্গ করেছে। তদন্ত কমিশন গঠন করে তারা অপরাধী হলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হবে। আশাকরি যেসব প্রস্তাব দিয়েছি তার বেশির ভাগ বাস্তবায়ন হবে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাব নির্বাচনের আগে বাস্তবায়ন করা জরুরি। প্রস্তাবের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার লাগবে, যা সময়ের ব্যাপার নির্বাচনের আগে সম্ভব হবে না। অতীতের যে ভোটের কারচুপি তার পুনরাবৃত্তি আমরা আর চাই না।

রাজনৈতিক দলগুলোকে পরিচ্ছন্ন করা, নির্বাচনী অঙ্গন দুর্নীতি মুক্ত এবং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা খুবই জরুরি। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্যে নয়। তবে যারা দেড় দুই হাজার মানুষ খুন করেছে, গুম করেছে অধিকাংশ জনগণ চায় না তারা আবার রাষ্ট্র পরিচালনা করুক। খুনের দায়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!